পরোপকারী রহমান সাহেব এক বিপদগ্রস্ত ব্যবসায়ীকে তার বাড়িতে আশ্রয় দেন এবং ব্যবসায় করার জন্য বাড়ির এককোণে একটা দোকানঘর বানিয়ে দেন। ব্যবসার পাশাপাশি- সে আরও 'বিভিন্ন কর্মকান্ড শুরু করে। রহমান সাহেবের সরলতার সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ী বাড়িটি দখল করে নেয়। একইভাবে এলাকাব্যাপী তার কর্মকাণ্ড 'বিস্তার করে এবং একক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে। ফলে এলাকাব্যাপী তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।
উদ্দীপকে উল্লিখিত আন্দোলনটি হলো সিপাহি বিদ্রোহ, যা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করে।
ইংরেজ কোম্পানি শাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানুষের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা মাথায় চাপতে থাকে। তাদের এই শোষণের ফলে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর সৃষ্টি হয়। এছাড়াও ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দখল নিয়েই ক্ষান্ত ছিল না। মোগল রাজাদের দুর্বলতায় কোম্পানির সেনাবাহিনী নানা দিকে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে। ফলে ১৮৫৭ সালে ইংরেজ কোম্পানি শাসনের প্রায় একশ বছর পর ইংরেজ অধ্যুষিত ভারতের বিভিন্ন ব্যারাকে সিপাহিদের মধ্যে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। বাংলায় সিপাহি মঙ্গল পান্ডে এ বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন। সিপাহিদের এই বিদ্রোহে ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলের স্বাধীনচেতা শাসকরাও যোগ দেন। দিল্লির বাদশাহ বাহাদুর শাহ জাফরও এদের সমর্থন জানিয়েছিলেন। কিন্তু উন্নত অস্ত্র ও দক্ষ সেনাবাহিনীর সাথে চাতুর্য ও নিষ্ঠুরতায় যোগ ঘটিয়ে ইংরেজরা এ বিদ্রোহ দমন করে। বিদ্রোহ দমন করলেও মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার জন্য যে আকাঙ্ক্ষা ও সচেতনতা তৈরি হয়েছিল, তা বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটাতে নানা আন্দোলন-সংগ্রামে গতি দিয়েছিল। ফলে কোম্পানি শাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়ে ১৯৪৭ সালে ইংরেজ শাসনের অবসানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকে উল্লিখিত সিপাহি আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করে।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?